তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির মিছিলের দিন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এই ঘটনায় জামায়াতের ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিএনপির এই মিছিলটি নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় মগবাজারে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বিলোপ করে দিলেও এর শরিকরা যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে এদিন।
জামায়াতের জড়ো হওয়ার কথা ছিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে। সেখানে নিরাপত্তার ব্যাপক আয়োজনও রাখে পুলিশ। তবে দলটির নেতা-কর্মীরা সেখানে যায়নি।
এর মধ্যে মালিবাগে এরপর মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সামনে পুলিশের সঙ্গে ঘটে সংঘর্ষ। এ সময় পুশিলকে লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে।
Caption
রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেন শাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল বের করার চেষ্টা করে সেখা। তারা মিছিলের নামে সরাসরি পুলিশের উপরে আক্রমণ করে। এতে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যারা সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করা হয়।’
আটকদের মধ্যে দুই জনবে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রমনা থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।
এই দুই জন হলেন আল আমিন ও আব্দুস সোবহান। সোবহানের ডান হাত ভেঙে গেছে, আল আমিনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ইটের আঘাত রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের ইউনিটের দুই সদস্যকে মালিবাগ মোড় থেকে বেলা দুইটায় আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাই। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে জামায়াতের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় তাদের ১০ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ও রমনা জোনের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান।
রমনা থানার উপপরিদর্শক শহীদুল ওসমান মাসুম, সুবীর কুমার কর্মকার, হাবিবুর রহমান, মোহাইমিনুল হাসানও আছেন এই তালিকায়।
একই থানার দুই এএসআইও আহত হয়েছেন। তারা হলেন কবির হোসেন ও ফিরোজ মিয়া।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কনস্টবল সৌরভ নাথ ও সাদী মোহাম্মদও আছেন এই তালিকায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত জামায়াতের ১১ জন আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, কাউছার ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সালা উদ্দিন, আ. রাজ্জাক, আ. আউয়াল, সাইজ উদ্দিন, মোতালেব, আরিফুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, আব্দুস সোবহান, আল আমিন।
মৌচাকে জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নিতে পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন শনিবার সকালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে যাবেন।