বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির মিছিলে ছুটির দিনেও ভোগান্তি

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:২৮

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে ২৪ ডিসেম্বর মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়। ওইদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থাকায় পরে কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর পালন করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ঢাকায় বিএনপির মিছিলের কারণে শুক্রবার ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন ও মালিবাগ, শান্তিনগর ও মতিঝিল এলাকার মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে।

বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল করে। এ কারণে জুমার নামাজ পর থেকেই রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক বিজয় নগরে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ওই সড়ক দিয়ে অনেকেই ভোগান্তি নিয়ে পৌঁছেছেন গন্তব্যে। অনেকে ছুটির দিনেও পরিবার নিয়ে বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাড্ডা থেকে পরিবার নিয়ে নিউমার্কেট যাবেন রড মিস্ত্রি সুজন। কিন্তু বিএনপির মিছিলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন তিনি। এক শিশুসন্তানসহ হেঁটেই নিউমার্কেট রওনা হন তিনি।

নিউজবাংলার সঙ্গে তাদের কথা হয় বিজয়নগর মোড়ে। সুজন বলেন, ‘ওদিকে সব রাস্তা বন্ধ। তাই এদিক দিয়ে যাচ্ছি। অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।’

বাড্ডা থেকে বৃদ্ধ মাসহ লালবাগ যাবেন আরেক নারী। তিনিও জানালেন রাস্তা বন্ধ থাকায় তার অনেক ভোগান্তি হয়েছে।

শান্তিনগর এলাকা থেকে পল্টনে এসেছেন নজরুল। তিনি বলেন, ‘শান্তিনগরে রাস্তা বন্ধ তাই হেঁটেই পল্টনে যাচ্ছি।’

নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া বিএনপির মিছিল মগবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়/ ছবি: নিউজবাংলা

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে শিশুসন্তান মাহিকে কোলে নিয়ে মালিবাগের বাসায় যাচ্ছিলেন মো. হেলাল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও মা৷ তিনি বলেন, ‘গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার থেকে গাড়ি বন্ধ৷ মা,বউ আর ছেলেকে নিয়ে হেঁটেই যাচ্ছি বাসায়৷ বিএনপির মিছিল শেষে কখন কী ঘটে যায়, সে আশঙ্কায় দ্রুত বাসায় ফিরছি।’

রুবিনা আক্তারের নিয়োগ পরীক্ষা ছিল শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে৷ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তিনি স্বামী দ্বীন ইসলামের সঙ্গে হেঁটেই ফিরছিলেন পুরান ঢাকার নিমতলীর বাসায়৷

দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির মিছিলের কারণে বাস চলছে না৷ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পেলাম না। তাই হেঁটেই ফিরছি।’

ভ্যানচালক মতলুব নাজিরাবাজার থেকে একটি বাসার আসবাবপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন মালিবাগের দিকে৷ মিছিলের সময় তিনি আটকে পড়েন বিজয়নগরের নাইটিংগেল মোড়ে৷

মতলুব বলেন, ‘বাসা বদলাইতেছে একজন, তাদের বাসার মালামাল নিয়া যাইতেছি মালিবাগে৷ অল্প একটু রাস্তা বাকি, তাও আটকায় গেলাম। কখন যে রাস্তা ছাড়ে, তার ঠিক নাই৷’

এদিকে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মিছিলের ঘোষণা করা হয়। সেদিন তারিখ ঠিক করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হলেও ঢাকার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

একই দিন রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সেদিন সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসেন। ওইদিন বিএনপি ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষমতাসীন দল। এরপর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় ছয় দিন।

বিএনপির সঙ্গে কর্মসূচি পালন করেছে তাদের সমমনা দলগুলোও। পরে আজ গণতন্ত্র মঞ্চ ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি।

শান্তিনগর এলাকায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা

এদিন বায়তুল মোকাররমে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়ে না এলেও মালিবাগে ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কমীরা।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দাবিতে বিএনপির মিছিলের রুট ঘোষণা হয় নয়াপল্টন থেকে মগবাজার। জামায়াত জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দেয় বায়তুল মোকাররমের সামনে। পরে জুমার নামাজের পর মালিবাগ এলাকায় দলটির ব্যানারে মিছিলের চেষ্টা হয়।

সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে আসার পর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সামনে ঘটে সংঘাত। পুলিশকে এ সময় গুলি করতে দেখা যায়, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও।

ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর