বিএনপি জীবনেও কখনও কোনো মেগা প্রকল্প করতে পারবে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, তারা কেবল কথা বলতে পারে। কাজ পারে না। এ জন্যই জনগণ তাদেরকে আর ভোটে দেবে না।
বিএনপির রাজনীতি ‘নষ্ট’ উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এও বলেন, যার নষ্ট রাজনীতি করে, তারা কখনও দেশ মেরামত করতে পারে না।
শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আওয়ামী লীগ সরকারের করা নানা মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে কাদের প্রশ্ন রাখেন বিএনপি কখন কী করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জীবনেও মেগা প্রকল্প করতে পারবে না। বিষোদগার, লিপ সার্ভিস ছাড়া আপনাদের কী আছে? নির্বাচনের জন্য বাংলার মানুষ আর ভোট দেবে না।’
বিএনপি ‘রাষ্ট্র মেরামতে যে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটি নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে তারা। এই রাষ্ট্রে অর্থপাচার করেছে বিএনপি। পাঁচ বছরে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিএনপি৷ তারা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না। ধ্বংস করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে হবে। হাওয়া ভবনের লুটেরাদের রুখতে হবে।’
ফখরুলের মুক্তি চেয়ে বিবৃতিদাতাদের ১৫ আগস্টের পরের বক্তব্য কী?
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি চেয়ে যারা বিবৃতি দিয়েছেন, তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কী করেছিলেন, সে প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বুদ্ধিজীবি নামিয়েছে। তারা ফখরুলের মুক্তি চান। ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু, তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না। এই বাংলায় যখন ১৫ আগস্টে জাতির পিতার গোটা পরিবারকে হত্যা করেছিল, এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে কি আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন?
‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? কোথায় ছিল প্রতিবাদ আমি জানতে চাই। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ?’
বিএনপির ঢাকা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দুদিন আগে গত ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মির্জা ফখরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২৯ ডিসেম্বর ৬০ বিশিষ্ট নাগরিক ফখরুলের মুক্তির চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন।