নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দাবিতে বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে তাদের জোটের সাবেক ১২ শরিকের মিছিল ও আওয়ামী লীগের একটি মিছিল কাছাকাছি চলে আসার পর উত্তেজনা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই দুই পক্ষ এগিয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুরের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় এই ঘটনা ধটে।
বিএনপি তার ২০ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে সমমনা সব দলকে একই দিন একই কর্মসূচিনে নামানোর কৌশল নিয়েছে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে দলগুলো একই দিন রাজধানীতে একই কর্মসূচি নিয়ে নামল।
১২ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হয় বিজয়নগরের পানির ট্যাংকির মোড়ে। সেখানেই হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
এর আগে মিছিলে তারা ‘নিশিরাতের সরকার, আর নাই দরকার’ এমন স্লোগান দিতে থাকে।
তখন এ সময় পল্টন থানা আওয়ামী লীগের একটি মিছিল এগিয়ে আসতে থাকে। তারা এগিয়ে যায় ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সামনে দিয়ে। তবে কোনো সংঘাত ঘটেনি।
বিএনপি তার শরিকদের না জানিয়ে ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয়ার পর ১২ শরিক গত ২২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে এসে নতুন জোট গঠনের কথা জানায়। জোট থেকে বের হয়ে এলেও তারা বিএনপির কর্মসূচিতে সমর্থন দেয়। জানায়, একই দিন একই দাবিতে মাঠে নামবে তারাও।
যুগপতের প্রথম কর্মসূচি শেষে বিএনপির সঙ্গে মিল রেখেই ১১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কথা জানান এই জোটের নেতারা্
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে জোটের নেতা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পাশাপাশি, সংসদ ভেঙে দেয়া, রাজবন্দি আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
‘দেশে যেন আর কোনো কারচুপির নির্বাচন না হয় ও ৩০ ডিসেম্বর মতো কুখ্যাত নির্বাচন করে কেউ যেন ক্ষমতা দখল না করে, তার দাবিতে আমরা রাজপথে অবস্থান করবো সব সময়।’
সমাবেশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নাই। তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু পালাবার পথ পাবে না। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। তারেক জিয়াকে দেশে আসতে দিতে হবে।’
এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল রবিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ও বাংলাদেশ ইসলামী পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।