বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি ও সঙ্গীদের নতুন কর্মসূচি, ১১ জানুয়ারি দেশজুড়ে অবস্থান

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১৪

‘১০ দফা পূরণ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না, করতে দেয়া হবে না। এই ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো। আগামী ১১ জানুয়ারি রোববার সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এর আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ঘোষণা দেয়া গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকেও একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।

মোশাররফ বলেন, ‘আমি বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করছি। আমরা আশা করছি এই দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় জানাবে।’

দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যে সকল দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো এখানে জমায়েত হয়েছেন, এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘১০ দফা পূরণ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে।

‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না, করতে দেয়া হবে না। এই ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির মিছিলের একাংশ

বেলা সাড়ে তিনটার পর বিএনপির এই মিছিল শুরু হয় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে। কাকরাইল, মালিবাগ হয়ে মগবাজার মোড় হয়ে ফিরতে পথে একই রুটে গিয়ে শেষ হবে এই মিছিল।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সমাবেশে এই মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেদিন তারিখ ঠিক করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হলেও ঢাকারটা স্থগিত করা হয়।

একই দিন রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সেদিন সারা দেশ থেকে আসে নেতা-কর্মীরা। এই দিন ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষমতাসীন দল। এরপর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় ছয় দিন।

বিএনপির পর কর্মসূচি পেছায় তাদের সমমনা দলগুলোও।

বিএনপির মিছিলের অগ্রভাগ মগবাজারে পৌঁছার পর নেতা-কর্মীদের ঝামেলা না করে বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলেন আমানউল্লাহ আমান। এর পরেও দুই ঘণ্টা ধরে এসেছে মিছিল

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এরপর ওই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস হয়।

এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করলেও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে এবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া ভোটে না আসার ঘোষণা আছে তাদের।

এ বিভাগের আরো খবর