বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির মিছিলের রুটে জলকামান, সাঁজোয়া যানে হঠাৎ উত্তেজনা

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:০৪

মিছিল নিয়ে উত্তেজনার কোনো আভাস নেই যখন, তখন হঠাৎ পাল্টে যায় পরিস্থিতি। দুপুরের পর পর কাকরাইল মোড়ে আসে পুলিশের জলকামান, প্রিজন ভ্যান। টহল দিতে দিতে সাধারণ জনতাকে সরতে বলে একটি রায়ট কারও। মোড়েই অবস্থান নেয়। পুলিশের সাঁজোয়া যানের উপস্থিতিতে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। রিকশা ও বাসগামী জনতাকে বাহন থেকে নেমে কাকরাইল মোড় ছাড়াতে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসহ ১০ দাবিতে বিএনপির মিছিলকে ঘিরে হঠাৎ দেখা দিল উত্তেজনা। তবে হয়নি কোনো গোলযোগ।

শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মগবাজার যাওয়ার ঘোষণা ছিল দলের। সকাল ১০টা থেকে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।

দলের অন্য কর্মসূচির মতো, পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি ছিল না সেখানে। বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল আর ফকিরাপুলে ছিল তাদের অবস্থান, তবে ঢিলেঢালা। কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে রাইফেল। তবে গল্পগুজবে ব্যস্ত সবাই।

মিছিল নিয়ে উত্তেজনার কোনো আভাস নেই যখন, তখন হঠাৎ পাল্টে যায় পরিস্থিতি। দুপুরের পর পর কাকরাইল মোড়ে আসে পুলিশের জলকামান, প্রিজন ভ্যান। টহল দিতে দিতে সাধারণ জনতাকে সরতে বলে একটি রায়ট কারও। মোড়েই অবস্থান নেয়।

পুলিশের সাঁজোয়া যানের উপস্থিতিতে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষ দ্রুত এলাকা ছাড়তে থাকে। রিকশা ও বাসগামী জনতাকে বাহন থেকে নেমে কাকরাইল মোড় ছাড়তে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গেছে।

বিএনপির মিছিলের রুটে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয়া পুলিশের গাড়ি

এর আগে সকাল থেকে সব কিছু ছিল ছিমছাম। গত ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশের পর এটিই রাজধানীতে বিএনপির সবচেয়ে বড় কর্মসূচি, যদিও এর আগে ১৩ ডিসেম্বর সমাবেশ ও মিছিল এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিলেও দলটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।

১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশের আগে যে টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা গেছে, পরের কর্মসূচিগুলোতে সেগুলো অনুপস্থিত। আর নিরাপত্তার আয়োজনও ১০ ডিসেম্বরের তুলনায় খুবই কম। পরের তিন কর্মসূচির অনুমতি পেতেও দলটিকে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। যেখানে তারা চেয়েছে, সেখানেই তা পালনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল এবং ফকিরাপুল মোড়ে, যে পথ দিয়ে নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন নয়াপল্টনে। এই মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে কাউকে তল্লাশির মুখে পড়তে হয়নি। কোনো বাধার অভিযোগও করেনি কেউ।

সকালে নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নেয়া পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা

এই কর্মসূচিতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার আয়োজন অবশ্য আছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে জানিয়েছেন, মিছিলটি যে পথ দিয়ে যাবে এবং ফিরে আসবে, তার পুরোটাজুড়েই মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্য। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুরের পর বিএনপির মিছিল বের হলেই পুলিশ সদস্যদের দেখা যাবে।

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে আমরা তাদের সাহায্য করব। তবে সংঘর্ষের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেব।’

মিছিলে অংশ নিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সমাবেশে এই মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেদিন তারিখ ঠিক করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হলেও ঢাকারটা স্থগিত করা হয়।

একই দিন রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সেদিন সারা দেশ থেকে আসেন নেতা-কর্মীরা। এই দিন ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষমতাসীন দল। এরপর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় ছয় দিন।

এ বিভাগের আরো খবর