মেট্রোরেল চালুর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দেখা যায় আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। ছুটির দিনেও তারা শুধু মেট্রোরেল ঘুরতেই এসেছেন। আর বেশির ভাগই নতুন যাত্রী।
শুরুতে যা করবেন
শুরুতেই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। চাইলে ম্যানুয়াল বা কার্ডের মাধ্যমে টিকিট নিতে পারবেন। দুই ধরনের টিকিটের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে।
কার্ড কিনতে হলে মেট্রোরেলের বিক্রয় মেশিনে (ভেন্ডিং মেশিন) গন্তব্য বাটন এরপর কার্ড সংখ্যা নির্ধারণ বাটনে প্রেস করতে হবে। সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর মেশিনে টাকা দিতে হবে।
এই হলুদ দাগের ওপড়ে দাঁড়ানো যাবে না।প্রতিটি ধাপে সেখানে দায়িত্বরত কর্মীরা সাহায্য করবেন। তবে জেনে রাখতে হবে, বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে একটি টিকিট কেনার প্রয়োজন হলে আপনাকে খুচরা টাকা দিতে হবে।
যেমন ৬০ টাকা ভাড়া হলে ৫০ এবং ১০ টাকার নোট দিতে পারবেন। ১০০ টাকার নোট দিলে বাকি টাকা ফেরতযোগ্য না। আর টাকা কোনোভাবেই পুরনো এবং ভাঁজ থাকা যাবে না। তাহলে মেশিনে ঢুকবে না।
যেভাবে ট্রেনে উঠবেন
টিকিট কাটার পর চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখা যাবে কার্ড পাঞ্চ করার এবং ম্যানুয়াল টিকিটে প্রবেশের গেট রয়েছে। সেখানেও লাইনে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের সাহায্য কার্ড পাঞ্চ করে ভেতরে ঢুকবেন। কার্ডটি সংগ্রহ করে অপেক্ষা করলে কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন আসবে।
যা যা করবেন না
দরজার বাইরে মেঝেতে হলুদ বর্ডার লাইন আছে। যেটি বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে কোনোভাবেই পা রাখা যাবে না। ট্রেন এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দরজা খুলে যাবে। লাইনের শৃঙখলা বজায় রেখে ট্রেনে উঠতে হবে। তাড়াহুড়ো বা হুড়োহুড়ি করা যাবে না।
ট্রেনে থাকা মনিটরে পরবর্তী স্টেশনের নাম উঠবে এবং স্পিকারে বলেও দেয়া হবে। যে গন্তব্যের টিকিট কাটা হয়েছে, সেখানেই নামতে হবে। অন্য স্টেশনে নামা যাবে না। ভুল হলে ভোগান্তি হবে অথবা ইচ্ছাকৃত হলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে।
ট্রেনে কোনো রকম খাবার খাওয়া যাবে না। বগির ভেতরে লেখা আছে পানাহার নিষেধ। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে। তারা ব্যতীত সেখানে কেউ বসা যাবে না। তবে জায়গা খালি থাকলে বসতে পারেন।
ট্রেনের দরজায় দাঁড়ানো যাবে না। সিট না থাকলে ধরে দাঁড়ানোর জন্য প্যাসেঞ্জার হ্যান্ডেল আছে। এ ছাড়া আয়রনের পিলারও আছে। তাই হালকা ঝাঁকুনির সমস্যায় এগুলো ব্যবহার করতে হবে। কারও সমস্যা হয় সেভাবে দাঁড়ানো যাবে না।
জরুরি প্রয়োজনে যা করবেন
যদি কেউ তাৎক্ষণিক বের হতে চায় সে ক্ষেত্রে কী করবেন জানতে চাইলে রেলের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রত্যেক বগিতে দুটো করে বাটন আছে। জরুরি প্রয়োজনে সেখানে প্রেস করে অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। খুব বেশি প্রয়োজন হলে তারা এসে কথা বলবেন।’
ট্রেন থেকে বের হতে চাইলেও চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আলাদা বাটন রয়েছে। সেখানে প্রেস করে নামার কারণ জানালে তিনি ট্রেন থামাবেন।
মেট্রোরেলে যেহেতু ওয়াশরুম থাকে না, তাই সে রকম প্রয়োজন হলে ট্রেন থেকে নামতে হবে। আর গন্তব্যে পৌঁছাতে যেহেতু ৫ মিনিটের বেশি লাগে না, তাই এ বিষয়ে খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হয় না।
নামার পর
গন্তব্যে পৌঁছে এবার কার্ড মেশিনে পাঞ্চ করলে সেটা জমা হয়ে যাবে। একইভাবে বের হওয়ার রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে নেমে যাবেন।