বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুপুরে মিছিল, বিএনপি কর্মীরা সকাল থেকেই নয়াপল্টনে

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৪

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সমাবেশে এই মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেদিন তারিখ ঠিক করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হলেও ঢাকারটা স্থগিত করা হয়। একই দিন রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সেদিন সারা দেশ থেকে আসেন নেতা-কর্মীরা। এই দিন ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষমতাসীন দল। এরপর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় ছয় দিন।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি দুপুর ২টা থেকে মিছিল শুরুর ঘোষণা দিলেও নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই।

শুক্রবার সকাল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন দলটির কর্মী ও সমর্থকরা। হলুদ, লাল, বেগুনিসহ নানান সব রংর ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জাকজমকপূর্ণ এই শোডাউন করতে যাচ্ছে তারা।

বিএনপির পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের নেতা-কর্মীরাও নগরীর অন্য এলাকায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

বিএনপির এই মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মালিবাগ হয়ে যাবে মগবাজার মোড়ে। সেখান থেকে আবার ফিরতি পথে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সমাবেশে এই মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেদিন তারিখ ঠিক করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হলেও ঢাকারটা স্থগিত করা হয়।

একই দিন রাজধানীতে ছিল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সেদিন সারা দেশ থেকে আসে নেতা-কর্মীরা। এই দিন ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষমতাসীন দল। এরপর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে দেয় ছয় দিন।

বিএনপির পর কর্মসূচি পেছায় তাদের সমমনা দলগুলোও।

সকাল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বিএনপির কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা

নয়াপল্টনে আসা পল্টন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মিজার হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা করেছে এই মাফিয়া সরকার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আজকের গণমিছিল করতে এসেছি। এই সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় যাব, ইনশাআল্লাহ।’

ফরিদপুর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা নাসরিন আলম বলেন, ‘এই সরকারকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে তাদেরই মঙ্গল।

‘পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়েছে সরকার। খাবার মানুষের হাতের নাগালে নেই এখন। এই সরকারকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। মানুষ চায় এখন বিএনপি সরকার।’

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিএনপির সদস্য খালেদ মোস্তফাও এসেছেন কর্মসূচিতে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ খুবই কষ্টে আছে। এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পায়। দেশের স্বার্থে আমরা রাজপথে নেমেছি। তারা বলে খেলা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে তার পরে খেলায় নামুক।

‘আমরা জীবন দেব রাজপথে। রাতের আঁধারে তারা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনও অংশ নিয়েছেন কর্মসূচিতে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সারা বিশ্বের মানুষ আজ জানবে আর এই সরকারকে ধিক্কার জানাবে।

তারেক রহমান বিদেশে থেকেও দিনরাত খেটে যাচ্ছেন দেশের জন্য। শিক্ষক-ছাত্রসহ সব মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে এই সরকারকে হটানোর জন্য।’

তুরাগ থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আলমগীর হোসেন গায়ে বিএনপির পতাকা পড়ে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে, সরকারের পতন চেয়ে।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পতন হবেই। আমরা যতদিন আছি আমাদের বুকের রক্ত দিয়ে আমরা আমাদের অধিকার ফেরত চাই।’

কুমিল্লাহ থেকে এসেছেন প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী। তাদের একজন আসাদ উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না, প্রয়োজনে জীবন দিব। বিএনপি মাঠের দল, আমরা মাঠে থাকব।’

নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড়। ছবি নিউজবাংলা

বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল ও ফরিকাপুল মোড়ে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে জোরদার কোনো অবস্থান চোখে পড়েনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি অনুমতি নিয়ে আজকে মিছিল করছে। তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আমরা সহযোগিতা করব। আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সাপোর্ট থাকবে। তবে যদি কোনো ধরনের সংঘর্ষ ঘটায়, তখন অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত মঙ্গলবারই এই কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর