‘বিদেশে গেলে আমরা মেট্রোরেলে উঠে গর্ব অনুভব করতাম। সেই মেট্রোরেল এখন দেশের মাটিতে। এটা যেন দেশে বসে বিদেশের স্বাদ।’
শুক্রবার মেট্রোরেলে উঠে এমনই অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জামান ইসলাম। সকালে পরিবার নিয়ে মেট্রোরেলে উঠার জন্য এসেছেন জামান।
সাধারণ যাত্রী নিয়ে প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে এই রুটে মেট্রোরেল চলছে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
প্রথমদিনই মেট্রোট্রেনে চড়তে বহু মানুষ আসেন। ভোর থেকে দীর্ঘ লাইনে দাাঁড়ান তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন আরও দীর্ঘ হয়। প্রথমদিনই অনেকেই উঠেছেন ট্রেনে। তুলেছেন সেলফি, প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাস। আবার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় অনেকেই ট্রেনে উঠতে না পেরে ফিরে গেছেন।
দ্বিতীয়দিন শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরা ও আগারগাঁও প্রান্তে ফের যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ছেন।
উত্তরা উত্তর স্টেশনে জামান বলেন, ‘এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা ঘুরতে পছন্দ করি। বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি। বিদেশে গেলে সব সময় সে দেশের মেট্রোতে উঠতাম। মেট্রোরেলে ভ্রমণের মজাই আলাদা। সেই অনুভুতি এখন দেশের মাটিতে ভাবতেই ভালো লাগছে। আমরা গর্ব করে বলব আমাদেরও আছে মেট্রোরেল।’
দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন করা হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।