খুলনার এক নারীকে বরিশালের আবাসিক হোটেলে আটকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে ঘটনার এক মাস পর। পুলিশ জসিম ফকির রাজীব নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলাটি নথিভূক্ত হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, খুলনার যে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি কাপড় ব্যবসায়ী। পাওনা সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায়ে তিনি বরিশালে আসলে ধর্ষণের শিকার হন।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি জানান, কাপড় ব্যবসায়ী নারীর সঙ্গে বেনাপোল এলাকায় পরিচয় হয় আব্দুল মালেক নামে বরিশালের এক ব্যবসায়ীর। মালেক ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মালামাল নিলেও তখন টাকা পরিশোধ করেননি। এছাড়াও তিনি ধার বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।
লেনদেনের শর্ত অনুযায়ী প্রতি মাসে ২০/২৫ হাজার টাকা করে পরিশোধের কথা ছিল মালেকের। কিন্তু মালেক নির্ধারিত সময়ে টাকা অথবা মালামাল ফেরত দেননি। পাওনা টাকার জন্য যোগাযোগ করলে মালেক ঐ নারীকে বরিশালে আসতে বলেন। সে অনুসারে ছেলেকে নিয়ে ২৮ নভেম্বর বরিশালে পৌঁছেন নারী ব্যবসায়ী।
মালেক তখন জসীম ফকির রাজিব নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে সন্তানসহ নারীকে বরিশাল নগরীর চাঁদমারী ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে একটি আবাসিক হোটেলে পাঠান। সিটি প্যালেস নামের আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাজিব ধর্ষণ করেন নারী ব্যবসায়ীকে। তখন তার ছেলেকে আটকে রাখা হয় পাশের কক্ষে।
হোটেল থেকে ছাড়া পেয়ে মালেকের কাছে গেলে তখন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মালেক ও তার সহযোগী জালাল। এ সময় নারীর চিৎকারে স্থানীয় সোহাগ নামের ব্যক্তি এগিয়ে আসলে মালেক ও জালাল পালিয়ে যান।
নারী কাপড় ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ঘটনার কয়েকদিন পর তিনি থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ রেখে দেয়। এক মাস পর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপে মামলা নিয়েছে থানা। এরপর আসামি রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা পলাতক।
পরিদর্শক বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি জানান, গ্রেপ্তার জসিম ফকির রাজীবের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগর ইউনিয়নের মেরুহার গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষণের মামলায় আসামি করা হয়েছে তিনজনকে। অভিযুক্ত রাজীবকে কালিজিরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।