বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঘায় বিকেলের ভোট সন্ধ্যার পরও

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:১০

রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার নির্বাচনে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। বিপলল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট চলার কথা। কিন্তু বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করা যায়নি। বিকেল সাড়ে ৫টাতেও শত শত ভোটার কেন্দ্রের বাইরে লাইনে অপেক্ষা করেন। 

নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পরায় রাজশাহীর বাঘা পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে সন্ধ্যার পরও। ইভিএম-এ সময় লাগায় নির্ধারিত সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকেই। আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় তারা ভোট দিতে পারেননি।

বাঘা পৌরসভার নির্বাচনে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। বিপলল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট চলার কথা। কিন্তু বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করা যায়নি। বিকেল সাড়ে ৫টায়ও শত শত ভোটার কেন্দ্রের বাইরে লাইনে অপেক্ষা করেন।

বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ১০০ জনের ভোট নেয়া সম্ভব হয়। তখনও শতাধিক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সন্ধ্যার পরও এখানে ভোটগ্রহণ করা হয় বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ইমরান আলী।

মুর্শিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টাতেও ভোটারের লাইন ছিল। বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় এবং গাওপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা যায় সাড়ে ৫টাতেও।

এদিকে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা গেছে বেশকিছু ভোটারকে। বাঘা হযরত শাহ আবদুল হামিদ দানিশ মান্দ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু ভোটার ফিরে যাওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই দুই কেন্দ্রের অন্তত ১৪জন ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।

বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে ফিরে যান উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের সেকেন্দার আলী, মুনসুর রহমান, আবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। বাঘা হযরত শাহ আবদুল হামিদ দানিশ মান্দ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ফিরে যান ১০ জন ভোটার।

এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মুনসুর আলী জানান, ইভিএমের সেন্সর ঠিকমতো কাজ না করা, আঙুলের ছাপ না মেলা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বরের সঙ্গে ভোটার তালিকার নম্বরের মিল না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

এই কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময় বেশি লাগায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তবে নির্ধারিত সময়ের যারা ভোট কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করেন তাদের ভোট নেয়া হয়েছে।

আঙুলের ছাপ নিতে সমস্যার কথা স্বীকার করে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ইমরান আলী বলেন, ‘হাতের চামড়া উঠে যাওয়ার কারণে বয়স্ক কারও কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছিল না। অনেকেই ৩-৪ বার চেষ্টা করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে। যাদের একেবারেই মেলেনি, তাদের ভোট নেয়া সম্ভব হয়নি।’

রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘কিছু কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট নেয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে যারা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেছেন তাদের ভোট নেয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণে সময় লাগায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শেষ করতে কিছুটা সময় লেগেছে। এক্ষেত্রে মুর্সিদপুর কেন্দ্রে একটু বেশি সময় পর্যন্ত ভোট নিতে হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আঙুলের ছাপ না মেলার কোনো কারণ নেই। অনেকে হয়তো ধৈর্য্য হারিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু যারা থেকেছেন শেষ পর্যন্ত তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে এবং ভোট নেয়া হয়েছে। যারা ভোট দিতে পারেননি তাদের বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এ নির্বাচনে ৫ জন মেয়র, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৩৬ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৮০ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর