বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় গৃহবধূ সুবর্না হালদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামে স্বামী সুব্রত হালদারের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, যৌতুকের জন্য সুবর্নাকে হত্যা মামলায় স্বামী সুব্রত হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী সুবর্না হালদার উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের শ্যামল মণ্ডলের কন্যা। তার স্বামী সুব্রত উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের বাসিন্দা।
আগৈলঝাড়া থানার এসআই আলী হোসেন বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সুর্বনার মরদেহ বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।’
এসআই আলী হোসেন আরও জানান, গৃহবধূর বাবা শ্যামল মণ্ডল বাদী হয়ে স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গৃহবধূর স্বামী সুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আসামি শাশুড়ি উষা রানী হালদার, ননদ জোৎসা রানী হালদার ও ননদের ছেলে পালিয়ে গেছে।
সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান এসআই আলী হোসেন।
গৃহবধূর বাবা শ্যামল মণ্ডল জানান, সুব্রতর সঙ্গে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুবর্নার। যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকজন নির্যাতন করত। এ ঘটনা নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সুব্রত হালদার যৌতুক দাবি এবং কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্ত্রী অতিরিক্ত কথা বলায় মাঝেমধ্যে মারধর করেছি।’