আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। ১১ ডিসেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পদত্যাগ করায় এই আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচনকে ঘিরে শূন্য আসনটিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের ১৪ নেতা-কর্মী।
ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া দলীয় প্রার্থিতা পেয়েছেন।
তবে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া আসনটিতে কে মনোনয়ন পাবেন, সে সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন (সরাইল-আশুগঞ্জ) তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু স্বাশিপের প্রতিষ্ঠাতা, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাশিপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মো. আকরাম খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্বাশিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলমের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি, বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধিসহ সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর দীর্ঘদিনের প্রাণের বিভিন্ন দাবি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সার্বিক বিবেচনায় অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু সংসদ সদস্য হিসেবে একজন যোগ্য প্রার্থী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি বিপুল ভোট বিজয়ী হবেন।’
এদিকে শুধু শাহজাহান আলম সাজু নয়, মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন গত জাতীয় নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন।
এ ছাড়া সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফি উল্লাহ, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন।
পাশাপাশি সরাইল আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, সরাইল উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু এবং ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী মনোনয়ন চাইছেন।
তারা সবাই নিজের মতো করে তফসিল ঘোষণার পরই গ্রামগঞ্জে গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রার্থীদের প্রত্যাশা ও দাবি যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের নৌকা প্রতীক দেয়া হবে।