মেট্রোরেল উদ্বোধন হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে সমাবেশে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যিক চলাচল শুরুর দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশও করে তারা।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘মেট্রোরেল যেমন ঢাকা শহরের লাইফলাইন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হচ্ছেন বাংলাদেশের লাইফ লাইন।
‘২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার। এটা ২০৪১ সালে সাড়ে ১২ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।
‘বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট। সেটি ২০৪১ সালে ৫৬ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। জিডিপি ৭ শতাংশ থেকে গিয়ে ৯ শতাংশে দাঁড়াবে।’
ছাত্রলীগ সভাপ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের এই স্বপ্নকে নিরাপদ করতে হবে এবং আগামী দিনে আমরা যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আরো অনেক অসীম সোনালী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অপেক্ষা করছে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘মেট্রোরেলের উদ্বোধন অপশক্তির বুকে জ্বালা দেয়।
‘মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক দর্শনের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা বলে মেট্রোরেলের নাকি ভাড়া বেশি। কিন্তু এই মেট্রোরেলের কারণে ঢাকা শহরের মানুষের দৈনিক চার ঘণ্টা কর্মসময় সেভ হবে।’
পদ্মা সেতু নিয়েও নানা অপপ্রচার করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমে বলা হলো জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু পদ্মা সেতু কি জোড়া তালি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে? বরং এটি সারা পৃথিবীর বুকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্রাকচারের একটি রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে।’
শুক্রবার রাজধানীতে বিএনপির মিছিলে বিশৃঙ্খলা হলে সমুচিত জবাব দেয়ার ঘোষণাও আসে ছাত্রলীগের এই সমাবেশ থেকে।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে আমরা মেট্রোরেল উদ্বোধন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করছি। কিন্তু ওরা আগামীকালকে সারা ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ওরা আগামীকাল নাকি সারা ঢাকা শহরে গণমিছিল করবে। কিন্তু গণমিছিলের নামে যদি গণহয়রানির চেষ্টা করা হয় তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। যে হাত আগামীকাল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে সেই হাত ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে ফেলবে।’
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন শাখার নেতারা এই মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।