বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদনের ওপর ৫ জানুয়ারি শুনানি হবে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এই শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। এর আগে ৩১ নভেম্বর বুশরার আইনজীবী জামিন চেয়ে এই আবেদন করেন।
রাজধানীর রামপুরা থেকে ১০ নভেম্বর সকালে বুশরাকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে থানা পুলিশ। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেয়।
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুশরা ও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ৯ নভেম্বর রাতে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। পরদিন সকালে রাজধানীর রামপুরার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন ফারদিন। এর তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। তিনি রাজধানীর ডেমরা এলাকায় থাকতেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পরশ রাজধানীর ডেমরা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তদন্তে ফারদিনের সঙ্গে বুশরার নিছক পরিচয় ও বন্ধুত্বের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বুশরাকে নিয়ে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন ফারদিন। এরপর রামপুরায় বুশরা যে মেসে থাকেন তার কাছাকাছি তাকে পৌঁছে দেন তিনি। এরপর আর ফারদিন বুয়েট ক্যাম্পাস বা নিজের বাসায় ফেরেননি।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।