মেট্রোরেল চালুর আগেই নারী চালক মরিয়ম আফিজাকে নিয়ে বেশ আলোচনা থাকলেও অন্য চালকদের নিয়ে তেমন কোনো প্রচারই নেই।
ট্রেনের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোট ২৪ জন। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ রাশেদ ও বাহারুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে প্রথম ট্রেনে আফিজার সঙ্গে ছিলেন রাশেদও।
রাশেদ ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে গণিত ও বাহারুল ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে পদার্থবিদ্যায় ভর্তি হয়ে স্নাতক ও মাস্টার্স পাস করেন।
২০২০ সালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে হিসেবে নিয়োগ পান তারা।
আব্দুল্লাহ রাশেদ ও বাহারুল ইসলাম চট্টগ্রামের হালিশহরে রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমি থেকে দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকায় ফিরে প্রশিক্ষণ নেন আরও চার মাস।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিনে আফিজার সঙ্গে সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাশেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের একটি ড্রিম প্রজেক্ট ছিল। এই প্রজেক্টের সাথে নিজের নাম দেখে গর্ব হচ্ছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হলে ঢাকা শহরের মানুষের ট্রাফিক জ্যামের ভোগান্তি কমে যাবে।’
বাহারুল ইসলাম বলেন, 'দেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেলের চালক হিসেবে যোগদান করেছি এটা অবশ্যই গর্বের। এমন একটা মেগা প্রকল্পের অংশ হওয়াও অনেক আনন্দের। পুরোপুরি চালু হলে নগরের মানুষের কষ্ট লাঘবে মেট্রোরেল ভূমিকা রাখবে। তখন আমার আনন্দটা আরও বেশি হবে।'
বর্তমানে মেট্রোরেল পরিচালনায় মোট ২৭৪ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ট্রেনচালক ছাড়াও আছেন ৫৮ জন স্টেশন কন্ট্রোলার। তারাও ট্রেন চালাতে পারবেন।
তবে মেট্রোরেল পুরোদমে চালাতে হলে আরও জনবল লাগবে। ইতিমধ্যে ৪০০ জনকে নিয়োগের একটি প্রক্রিয়াও চলছে।