সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দের বিধান কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে রিটকারিদের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্য আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদ্প্তরের মহাপরিচালককে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নারীদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা বরাদ্দ রেখে জারি করা গেজেট চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ রিটটি করেন চাকরি না পাওয়া ১৫২ জন। শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে।
আদালতের রিটকারিদের পক্ষে শুনানি করেন শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে মোর্শেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শামীম সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ২ এর ‘ঘ’ ধারা অনুসরণ করা হয়।’
সংবিধানের ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোটা অসাংবিধানিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রেখে এ নিয়োগ হতে পারে না। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।’
গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।