বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের তিন দিন আগে দলীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
২০১২ সালে বিএনপির কর্মসূচির দিন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে আগুনের ঘটনায় একটি মামলায় ১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। গ্রেপ্তার হন ৭ ডিসেম্বর।
সেদিন নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলাতেও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এবার গ্রেপ্তার দেখানো হয় ২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এই গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি মিন্টো রোডের ইস্কাটন হয়ে মাতুয়াইলের দিকে যাচ্ছিল। কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থকে ২৫০ ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক আয়নাল পল্টন থানায় মামলা করেন।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সে সময় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করছিল। সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে তখন মামলা হয়।
২০১৭ সালে এই মামলায় ফখরুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদও এই মামলার আসামি। সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিউল বারী বাবুকেও আসামি করা হয়েছিল মামলাটিতে। তবে তিনি মারা যাওয়ায় আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ পড়বে।
এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ঠিক হয়েছে আগামী ২৯ মার্চ।
অপর মামলাটি করে পুলিশ। ২০১১ সালে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নাশকতার অভিযোগে এই মামলাটিও করা হয় পল্টন থানায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে এসব মামলাকে ‘গায়েবি’ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, তারা আন্দোলনে নামলেই সরকার এসব মামলায় তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে।