মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। চতুর্থবারের মতো বৃহস্পতিবার জেলাটিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে বেড়েছে দুর্ভোগ। তীব্র এ শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। থমকে গেছে চুয়াডাঙ্গার কর্মচাঞ্চল্য।
সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাবিল রহমান বলেন, ‘খুব ঠাণ্ডা পড়েছে। কুয়াশায় ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের চারা এভাবে যদি নষ্ট হয়, তাহলে আমরা ধান লাগাবো কী করে?’
স্থানীয় কৃষকরা জানান, শীতে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের বীজতলা। এ বছর ৩৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলার কৃষি বিভাগ। ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ধানের বীজতলা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বীজতলা রক্ষণাবেক্ষণে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’