রাজধানীর উত্তরা থেকে হুইলচেয়ারে করে দিয়াবাড়ীর উত্তর স্টেশনে আসেন বিশেষভাবে সক্ষম মোহাম্মদ মহসিন। তিনি বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা বলে জানান।
শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এই যুবক বলেন, ‘আগারগাঁওয়ে একটি কাজ থাকায় মেট্রোরেলে করে এসেছি। কোনো লাইনে আমাকে দাঁড়াতে হয়নি। সরাসরি সামনে পাঠিয়ে দিয়েছে। লিফটে উঠে টিকিট কাটতেও কোনো সমস্যা হয়নি। কোনো ভোগান্তি নেই, সব কিছু ভালোভাবেই হয়েছে।’
অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কও মহসিন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক গাড়িতে তো আমাদের মতো শারীরিক সমস্যা যাদের আছে তারা উঠতে পারে না। কিন্তু মেট্রোরেলে খুব সুন্দরভাবে উঠতে পেরেছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। সিএনজি অটোরিকশা করে গেলে অনেক টাকা ও সময় লাগত। কিন্তু মেট্রোরেলে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচিয়েছে।’
এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে উদ্বোধনস্থলে তিনি এই ফলক উন্মোচন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বক্তব্যের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মেট্রোরেলে চড়েন শেখ হাসিনা।