তাদের হাতেই তৈরি হয়েছে মেট্রোরেল, আর সেই মেট্রোরেলের প্রথম দিনেই যাত্রী হয়েছেন তারা। তাই যেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তাদের। এরা সবাই ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির কর্মী। সবাই কাজ করেছেন মেট্রোরেল প্রকল্পে।
কোম্পানিটির ওয়্যার হাউসের স্টোর ডেটা বিভাগে কর্মরত রকিবুল ইসলাম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ আমরা মহাখুশি। আমরাই এটা নির্মাণ করছি, আবার আজ প্রথম দিনে আমরাই যাত্রী। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। আজ এখানে আমরা ৫০ জনের বেশি এসেছি। বিভিন্ন বিভাগে কর্মরতরা এখানে এসেছে ট্রেনে ওঠার জন্য।
ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির বিরুলিয়ায় অবস্থিত বেসিন প্ল্যান্টের ওয়ার্কার শাহ আলম বলেন, ‘আমি এটা বানাতে ঢালাইয়ের কাজ করেছি। আজ অফিস থেকে আমাদের অনেকজনকে এখানে নিয়ে এসেছে মেট্রোরেলে চড়াতে। আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।’
এ সময় তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে হাসি আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যায়। একে অন্যের ছবি তুলে দিচ্ছেন, তুলছেন গ্রুপ সেলফিও।
কোম্পানিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কাওসার আহম্মেদ বলেন, ‘নিজ হাতে বানিয়ে সেই মেট্রোরেলে প্রথম দিনে নিজ হাতে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছি। এখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাচ্ছি আবার ওখান থেকে উত্তরা আসব। মজাই আলাদা ভাই। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। সারা জীবন বলে যেতে পারব- এই মেট্রোরেল বানানোর সময় আমি ছিলাম।’
সাজেদুর রহমান নামের আরেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘এখানে শুধু দেশি কর্মকর্তারাই আসেননি, আমাদের সঙ্গে কাজ করা বিদেশি ইঞ্জিনিয়াররাও এসেছেন। পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় আমরা এই ট্রেনে ভ্রমণ করেছি, কিন্তু আজ প্রথম দিনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহকর্মীদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে পেরে অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে। গর্ববোধ হচ্ছে এই ভেবে- এটা নির্মাণের সঙ্গে আমি ছিলাম।’