ফাহমিদা খাতুনের অফিস উত্তরা। মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে ভোরে আগারগাঁও এসেছেন মেট্রোট্রেনে চড়ে অফিসে যাবেন বলে। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। খুব ভালো লাগছে প্রথম মেট্রোট্রেনে উঠতে পেরে। ভেবেছিলাম হুড়োহুড়ি করে উঠতে হবে। তবে দেখলাম খুব শৃঙ্খলভাবে সব কিছু হচ্ছে।’সাধারণ যাত্রীদের জন্য মেট্রোট্রেন চালু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ফাহমিদার মতো অনেকেই এতে চড়ে অফিসে যাতায়াত করেছেন। এদিন সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। দিয়াবাড়ী থেকে সকাল ৮টায় যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেন আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ীর উদ্দেশে প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে।
সায়েম হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘এতদিন ধরে বাসে করে গিয়েছি। আজ প্রথমবার মেট্রোরেলে চড়ে অফিসে যাব। দ্রুত ও ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পারব।’
এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে উদ্বোধনস্থলে তিনি এই ফলক উন্মোচন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বক্তব্যের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মেট্রোরেলে চড়েন শেখ হাসিনা।