‘সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করতে বের হয়ে ট্রেনে উঠেছি। মনে হচ্ছে থাইল্যান্ডের কোনো ট্রেনে চড়ছি।’ কথাগুলো বলছিলেন একটি বেসরকারি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তিনি থাকেন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলায়। বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে ছাড়া মেট্রোট্রেনে চড়েছেন তিনি। মেট্রোট্রেনে চড়ে সাইফুল ইসলামের মতোই উচ্ছ্বসিত বহু যাত্রী।
ভোর ৪টা থেকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন চার বন্ধু। লক্ষ্য ছিল প্রথম মেট্রোট্রেনে চড়া। ট্রেনে চড়তে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনের প্রথমে ছিলেন তারা।
ট্রেনে চড়ার পর তারা জানান, ‘মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হতে শীত উপেক্ষা করে ভোর ৪টার সময় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ট্রেনে চড়ে খুবই ভালো লাগছে।’
সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। দিয়াবাড়ী থেকে সকাল ৮টায় যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেন আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ীর উদ্দেশে প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে।
ট্রেনের ভেতরে বসে কেউবা ছবি তুলছেন, কেউ ফেসবুকে লাইভ করছেন। সবার মধ্যেই অন্য রকম উচ্ছ্বাস৷
মেট্রোট্রেনের টিকিট হাতে যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
কথা হয় আরিফ হোসেন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। মেট্রোরেলে চড়ে শুধু ঘুরতে উত্তরা যাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছে। শুধু চড়ার জন্যই এসেছি।’
ফাহমিদা খাতুনের অফিস উত্তরা। মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে তিনি এসেছেন মেট্রোরেলে চড়ে অফিসে যাবেন বলে। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। খুব ভালো লাগছে প্রথম মেট্রোরেলে উঠতে পেরে। ভেবেছিলাম হুড়োহুড়ি করে উঠতে হবে। তবে দেখলাম খুব শৃঙ্খলভাবে সব কিছু হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর আজ থেকে সীমিত পরিসরে মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন করা হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এই রুটে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
প্রাথমিকভাবে এই রুটে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।