ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার বেগমপুর এলাকার বাসিন্দা পাপ্পু রায়। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেলকে সঙ্গী করে।
সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তবে এবার দেশের সীমানা পেরিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ-ভারতের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার বার্তা নিয়ে এসেছেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর ভোর ৪টায় নিজ বাড়ি থেকে সাইকেল ভ্রমণে বের হন পাপ্পু। ওই দিনই বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর বিভিন্ন জেলা ঘুরে সোমবার ময়মনসিংহে আসেন পাপ্পু।
এদিন বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও শহরের সার্কিট হাউস মাঠে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও টি-শার্ট উপহারের মাধ্যমে স্বাগত জানায় ময়মনসিংহ সিটি সাইক্লিস্ট নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। পরে তিনি ময়মনসিংহ শহর হয়ে মুক্তাগাছা উপজেলায় যান।
দেশে ফেরা পর্যন্ত সাইকেল ভ্রমণে পাপ্পু সব মিলিয়ে দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন
পাপ্পু রায় নিউজবাংলাকে বলেন, স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি আমার নেশা সাইক্লিং। তাই সময় পেলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এবার শীতকালীন অবকাশে সাইকেলে চেপে ছুটে এসেছি বাংলাদেশে। ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার বার্তা নিয়েই ছুটে চলেছি। এজন্য তার এবারের ভ্রমণের মূলমন্ত্র ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সাইকেল অভিযান’।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনই ১৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশের যশোর শহরে আসি। তারপর কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ শহরে এসে পৌঁছাই। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় গিয়ে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরে যাব। দেশে ফেরা পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেড় হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ হবে।’
পাপ্পু আরও বলেন, ‘সাইকেল পরিবেশ দূষণ কমায় এবং শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাইকেল খুব আনন্দদায়ক একটি যান। তাই আনন্দ নিয়েই আমি সাইকেল ভ্রমণ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে এ নিয়ে আমার দ্বিতীয়বার আসা।
ময়মনসিংহের বন্ধুরা পাপ্পুকে বরণ করে নেন
আমি একদিকে ভারতবাসীকে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানাচ্ছি, তেমনি বাংলাদেশি মানুষদেরও ভারত সম্পর্কে জানাতে এসেছি। দুটি দেশ যদি বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখে তাহলে অন্য কোনো দেশ আমাদের ওপর চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।’
ময়মনসিংহ সিটি সাইক্লিস্ট সংগঠনের সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন পাপ্পু। তিনি ময়মনসিংহ আসার পর আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। সে যে জেলায় গিয়েছে সবাই তাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশি মানুষের সঙ্গে মিশতে পেরে পাপ্পুও মুগ্ধ হয়েছেন।’