জনগণের শক্তির বিপরীতে কেউ নির্যাতন চালিয়ে টিকে থাকতে পরে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘জনগণের শক্তির সামনে কোনো শক্তি টিকে থাকতে পারে না, কখনও কোনো শক্তি সফলও হয়নি। এই সরকারেরও বিদায় হবে, তা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাধারণত বাতি নেভার আগে আরও বেশি করে জ্বলে ওঠে, এই সরকারের অবস্থাও ঠিক তেমনি।
তারা হয়তো ভাবছে আরেকটু নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যদি কিছুদিন থাকা যায়। তবে আমি মনে করি নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে তাদের যাওয়ার পথও তত ছোট হবে।’
বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের চন্দনপাড়া গ্রামে ২৪ ডিসেম্বর মিছিলের সময় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাড়িতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘অত্যাচার যত বাড়ে, পরাজয় তত দ্রুত আসে। আমার মনে হয় আমরা শেষ প্রান্তে রয়েছি। যদি এটি গণতান্ত্রিক যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা সে যুদ্ধের শেষ প্রান্তে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশের লাঠিচার্জ কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য জাতির সামনে তথ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন লাখো শহীদের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছি, সেই স্বাধীন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গুম, খুন এবং রাজপথে আব্দুর রশিদ আরেফিনের মতো একের পর এক জীবন বলি হচ্ছে। তাদের নামও লাখো শহীদের পাতায় লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।’
পরে তিনি আরেফিনের বাড়ির পাশের মাঠে ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আফাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুরের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় পঞ্চগড় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাড়াও পাশের ঠাকুরগাঁও এবং নীলফামারী জেলা থেকে আগত বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।