১৩৬ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার দুদক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থার সচিব মাহবুব হাসান।
গোর্কি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ব্যবসায়িক অংশীদার।
এমজিএইচ গ্রুপের সিইও আনিস আহমেদ গোর্কি ইস্টার্ন ব্যাংকের একজন পরিচালক। জাহাজে পণ্য পরিবহন, খুচরো বিপণন, এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশন, রিয়েল এস্টেট, পোশক, চা ও রাবার প্লান্টেশন, অটোমোবাইল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে আছে এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবসা আছে তার।
বাংলাদেশে রেস্তোরাঁ চেইন নানদুজের ফ্রাঞ্চাইজি রয়েছে এমজিএইচ গ্রুপের হাতে। রেডিও ফূর্তি এ গ্রুপেরই একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ‘অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকেছিল দুদক।
দুদক সচিব বলেন, ‘আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে কমিশন আদেশ দেয়।
‘তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আনিস আহমেদ ২০০৮-২০০৯ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে ১৩৬ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা আয়ের তথ্য প্রদান করেন।
‘সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, আসামী আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা হলেও উল্লিখিত মোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এ ধারায় ১৩৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু সেই অর্থের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো রেকর্ডপত্র/তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি।
‘এবং অনুসন্ধানকালে তার উল্লিখিত আয়ের উৎসের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি। আনিস আহমেদ অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত ১৩৬ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।’