বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কার মতো সরকার পতন বাংলাদেশেও: বিএনপি নেতা

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৫

‘অতীতে স্বৈরাচারী এরশাদ, আইয়ুবকে জনগণ বিদায় দিয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় জনগণ সেখানে তাদের স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছে। ইনশা আল্লাহ আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। তারা বলছে, এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। আমরা সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাব ইনশা আল্লাহ।’

শ্রীলঙ্কায় জনগণের আন্দোলনে যেভাবে সরকারের পতন হয়েছে, বাংলাদেশেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকার ভয় পেয়েই বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যার আয়োজন করে ভেঙে দেয়া ২০ দলীয় জোটের সাবেক শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনায় বিএনপি নেতা বলেন, ‘অতীতে স্বৈরাচারি এরশাদ, আইয়ুবকে জনগণ বিদায় দিয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় জনগণ সেখানে তাদের স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছে। ইনশা আল্লাহ আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। তারা বলছে, এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। আমরা সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাবো ইনশা আল্লাহ।’

সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন, ‘আমাদের ৯টি বিভাগের সমাবেশ নিয়ে তারা যা করেছে তা নজিরবিহীন। ঢাকার সমাবেশ নিয়ে অনেক টালবাহানা করছে। পরে আমাদের নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কী নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে, এটা স্বাধীন বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না।

‘তারা আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র সাড়ে চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু সরকার আমাদের গণসমাবেশে জনতার ঢল থামাতে পারেনি। এসব সমাবেশে জনগণ অংশগ্রহণ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আর আওয়ামী লীগের সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১০ দফা কর্মসূচি আদায়ে দেশজুড়ে মিছিলে সরকার বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর প্রথম গণমিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে পঞ্চগড়ে আমাদের একজন নেতাকে হত্যা করেছে।

‘আসলে আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তারা গত ১৪ বছর ধরে দুর্নীতি ও চাপাবাজি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। গত ১৫ দিনে বিশেষ অভিযানের নামে সারা দেশে বিরোধী দলের ২৪ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করেছে।’

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সুতরাং আমি বলব, এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

‘পরিষ্কার কথা, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। আমরা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছি। সবাই শরিক হবেন। ইনশা আল্লাহ আমরা বেগম খালেদা জিয়া ও অন্যান্য নেতাদের মুক্ত করব।’

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ বিভাগের আরো খবর