সবার করের টাকায় মেট্রোরেল হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ মুস্তফা কামাল। তিনি এটিকে ‘মহাঅর্জন’ বলে অভিহিত করেছেন।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের বুধবার সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
মেট্রোরেল নিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আপনাদের করের টাকা দিয়ে আমরা আজ একটি মহাক্ষণ উপভোগ করতে যাচ্ছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু কাজ আছে তা উদযাপন করতে হবে। আপনাদের সবার সাহায্য নিয়ে এ সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জাতীয় রাজস্ব খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়।’
‘২০৪১ সালে আমাদের সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। ট্যাক্স দেয়া শুধু দায়িত্ব নয়, ভালো কাজও। এটা ভেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করব। এ দেশটি আমাদের। এ দেশের জন্য আমরা কাজ করব। ’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘করদাতারা কর কেন দেবেন তাদের কাছে এই প্রশ্নটা সব সময় থাকে। এখন তারা নিশ্চয় দেখতে পাচ্ছেন। মেগা প্রকল্পগুলো এখন তাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান।
‘এনবিআর মনে করে কর প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও করদাতাদের তাতে বাধ্য করা যাবে না। কর প্রদানে করদাতাদের স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ হবে। ভালোবাসার জালের মাধ্যমে কর প্রদানে উৎসাহী করতে হবে। এজন্য এনবিআর কর প্রদানে স্বচ্ছতা আনতে কাজ করছে। যেন আরও সহজে কর প্রদান করা সম্ভব হয়।
সেকেন্ডারি ডাটাবেজের মাধ্যমে সবার বিস্তারিত তথ্য নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাউছ মিয়াসহ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ডের জন্য মনোনীত করেছে। সেরা করদাতাদের মধ্যে ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন, কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ৫৩ প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১২টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪১টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন।