বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগ নেতার মামলায় হলো না বাসর

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০২

আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন আসামির বিয়ে হচ্ছে বা হবে সেটি দেখার বিষয় তাদের না।

বিয়ে করে বউ বাড়িতে আনলেও বাসর হলো না ইরান-নার্গিস দম্পতির। বিয়ের দিনে যুবলীগ নেতার মামলায় আসামি হয়ে বাসর রেখে বাড়ি ছেড়েছেন নববিবাহিত যুবক।

এমন ঘটনা হয়েছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামে। ইরান খান ওই গ্রামের বাসিন্দা।

বাগধা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হাওালাদার জানান, পাশ্ববর্তী আমবৌলা গ্রামের নার্গিস খানমকে বিয়ে করে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি নিয়ে আসেন ইরান। ওই বিয়েতে ছিলেন ইরানের দুলাভাই বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মোল্লা। আবুল বাগধা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল খানের সঙ্গে বিয়ে বাড়ির পাশে এক বাজারে বসে কথা বলেন। বিষয়টি দেখে এমদাদুলকে মারধর করেন বাগধা ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান তালুকদার। বিষয়টি জানতে পেরে আবুল যুবলীগ নেতা মশিউরের কাছে এমদাদুলকে মারধরের কারণ জানতে চান।

হৃদয় জানান, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আবুলকে বিয়ে বাড়ি গিয়ে খুঁজতে থাকেন। এ সময় আবুল ওই বিয়ে বা‌ড়ি থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ ওই রাতেই যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

বাগধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোকলেসুর রহমান ১০ জনের নামে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় নববিবাহিত ইরান খান এবং তার ভাই মিরান খানকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার খবর শুনে নববধূকে রেখে বাড়ি ছেড়েছেন ইরান।

নববধূ নার্গিস খানম অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারের ঘটনায় আমার স্বামী জড়িত নন। তিনি তখন বর সেজে আমাকে নিয়ে আসছিলেন। অথচ তাকে আসামি করা হয়েছে। আমাকে বাসর ঘরে রেখে তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমন হয়রানির বিচার চাই।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোকলেসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি, যুবদলের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।

যুবদল নেতা আবুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারে ওদের সঙ্গে তেমন কোনো কথা হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে কেন কথা বলেছেন এই প্রশ্ন তুলে এমদাদুলকে মারধর করে যুবলীগ নেতা মশিউর। আমি ওদের গিয়ে বলি, বিয়ের দিনে মারধর করা উচিত হয়নি। এরপরই বিকেলে শুনি, আমাদের নামে মামলা হয়েছে।’

আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন আসামির বিয়ে হচ্ছে বা হবে সেটি দেখার বিষয় তাদের না।

এ বিভাগের আরো খবর