রংপুর সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
মহানগরীর আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এই সংঘর্ষের সময় বিজিবির একটি টহল গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির চালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমার গাড়িতে বিজিবির সদস্যরা ছিল। আমি গাড়ি নিয়ে আসা মাত্রই কয়েকজন হামলা চালায়। পেছনে থাকা প্রশাসনের গাড়ি ঘুরিয়ে যেতে পারলেও আমি যেতে পারিনি। তারা আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অনেকে আহতও হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ করে চলে যায় প্রশাসন। ওই কেন্দ্রে রফিকুল ইসলাম নামে এক কমিশনার প্রার্থী প্রথম হন। কিছুক্ষণ পর খবর আসে রফিকুল হেরে গেছেন। এই খবরে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় ওই পথেই যাচ্ছিল বিজিবির একটি টহল গাড়ি। বিশৃঙ্খলার সুযোগে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা পরে গাড়িটির ওপর চড়াও হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী যুবলীগ নেতা হারাধন রায় হারাকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘এখন পুরো বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে আমাদর কেউ মিসিং আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’