মেট্রোরেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে যাচ্ছে আধুনিক বৈদ্যুতিক গণপরিবহন ব্যবস্থায়। এমআরটি-৬ প্রকল্পের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন হচ্ছে বুধবার।
নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় ছয় বছর পর স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়। কয়েক হাজার শ্রমিক-প্রকৌশলীর নিরলস শ্রম জড়িয়ে আছে এই প্রকল্পে। নির্মাণ শুরুর আগে আরও কয়েক বছর লেগেছে পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বা ‘মেট্রো রেল’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়।
সে সময়ে মেট্রোরেলের মোট ছয়টি রুটের প্রস্তাব করা হয়, যেগুলো হলো এমআরটি লাইন ১, ২, ৪, ৫ (নর্দান ও সাউদার্ন), এবং ৬।
তবে এর মধ্যে এমআরটি লাইন-৬ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় প্রথমে। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) যৌথ অর্থায়ন করেছে।
২০১৩ সালে জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি করে সরকার। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়ন শেষে ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরু হয় ঢাকায় মেট্রোরেলের ঐতিহাসিক অধ্যায়।
২০১৭ সালের ২ আগস্ট উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক শুরু হয়। আর গত বছরের ২৯ আগস্ট মেট্রোরেলের প্রথম ট্রায়ালরান হয় দিয়াবাড়ি থেকে উত্তরা পর্যন্ত।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার নির্মাণের কথা ছিল। পরে তা সংশোধন করে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত আরও ১.১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়।
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পুরো রুটের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।