বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মির্জা আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৩০

দুদক সচিব মাহবুব হাসান বলেন, ‘আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ আছে, যা প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় ও মাধ্যমে অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত।’

প্রায় ২১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস দম্পতির নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে সংস্থার সচিব মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ আছে, যা প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় ও মাধ্যমে অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত।

‘মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল হতে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। ২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। আফরোজা আব্বাস মন্ত্রীর স্ত্রী হওয়ার সুবাদে বিশেষ সুবিধা নিয়ে অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।’

সচিব বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। যা আফরোজা আব্বাসের নামে আছে। অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের বৈধতা দিতে ও গোপন করতে এ কৌশল অবলম্বন করেন। এসব অপরাধ দুদকের তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।’

মাহবুব হাসান জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সাথে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দিতে সুপারিশ করেন। সাক্ষ্য স্মারকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মঞ্জুরী আদেশ মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে বিচারার্থে চার্জশিট দেন।

এ ব্যাপারে শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘দুদকের এ চার্জশিট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। আসামিদের অপরাধ প্রমানিত হলে যে কোনও মত ও পথের লোককে আইনের মুখোমুখি করার দায়িত্ব দুদকের।’

এ বিভাগের আরো খবর