বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরু ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা চুরি, কারাগারে বন্ধুবেশী ‘চোর’

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৫০

ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গরু ব্যবসায়ী ইউনুছকে প্রায়ই ফোন করে তার সঙ্গে হাটে গরু কিনতে যাওয়ার আবদার করতেন ইঞ্জিল। সরল বিশ্বাসে ইউনুছও তাকে সঙ্গে নিয়ে হাটে যেতেন।

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বন্ধু সেজে গরু ব্যবসায়ীর ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় এক ব্যক্তিকে স্ত্রী-পুত্রসহ কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য ৬ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত পরিদর্শক ঝুটন কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চুরির মামলায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার আতকাপাড়া গ্রামের ইঞ্জিল হক, তার স্ত্রী রুমা বেগম ও ছেলে জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে ফুলপুর থানা পুলিশ।

এ সময় ইঞ্জিল হকের ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক বুধবার শুনানির দিন ধার্য্য করে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে সোমবার ভোরে নিজ গ্রাম থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বিষয়ে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে গরু কিনে ব্যবসা করে আসছেন।

প্রায় তিন মাস আগে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ইঞ্জিল মিয়ার সঙ্গে গরুর হাটে তার পরিচয়। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়।

এ অবস্থায় প্রায়ই ইউনুছকে ফোন করে তার সঙ্গে হাটে গরু কিনতে যাওয়ার আবদার করতেন ইঞ্জিল। সরল বিশ্বাসে ইউনুছও তাকে সঙ্গে নিয়ে হাটে যেতেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ থেকে ইউনুছ গাজীপুরে আসেন। সেখান থেকে ইঞ্জিল মিয়া ও অন্য গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিনি ট্রাকে চড়ে ময়নসিংহের ফুলপুরের আমুয়াকান্দা বাজারে গরু কেনার জন্য রওনা দেন।

রাত ৩টার দিকে আমুয়াকান্দা বাজারে পৌঁছান তারা। সেখানে পৌঁছে সবাই ট্রাকে ঘুমিয়ে পড়লে সকাল ৬টার দিকে ওঠে ইঞ্জিল মিয়াকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, ট্রাকের বডিতে বিছানার নিচে রাখা ইউনুছের ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকাও খোয়া যায়।

ওসি বলেন, ‘ওইদিন দিনভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও টাকা এবং ইঞ্জিল হকের কোনো খোঁজ মেলেনি। পরদিন রাতে এ ঘটনায় ইউনুস আলী ফুলপুর থানায় মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার ভোরে স্ত্রী-পুত্রসহ ইঞ্জিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ লাখ ১০ টাকাও উদ্ধার করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর