রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলার পরও শত শত ভোটার বিভিন্ন কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নির্দিষ্ট সময়ে ভোট দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ তারা।
অনেক ভোটারের অভিযোগ, দুপুরের পর কেন্দ্রে আসার পর বিকাল সাড়ে ৪টায়ও তারা ভোট দিতে পারেননি।
মূলত ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ না মেলা, ভোট দিতে সময় নেয়া, ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে ভোটারদের অনভ্যস্ততার জন্য এমন হয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারী কেন্দ্রে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও শত শত নারী-পুরুষ ভোট দিতে পারেননি।
একই অবস্থা ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও। সেখানে উপস্থিত ভোটারদের কেন্দ্রের ভেতরে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাত ১২টা হলেও ভোট নেয়া হবে।
পান্ডার দিঘিতে দেখা গেছে, সেখানেও ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। একই অবস্থা ধাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও।
২৪ হাজারী কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটার মফিজুর রহমান বলেন, ‘তিন ঘণ্টার বেশি হলো দাঁড়িয়ে আছি। ভোট দিতে পারিনি। কখন দেব জানি না। সারাটা দিন গেল ভোট দিতেই।’
গোকুর চন্দ বলেন, ‘দুপুরের পর আসছি, এখনও লাইনে। কখন ভোট দিতে পারবো জানি না।’
২৪ হাজারী কেন্দ্রের প্রিজাইটিং কর্মকর্তা কানজেউর রহমান বলেন, ‘যারা ইভিএম সম্পর্কে জানে তাদের ভোট দিতে দুই-তিন মিনিট লাগছে। কিন্তু যারা জানে না তাদের ১৫ মিনিট লাগছে। মূলত ভোট দিতে দেরি হওয়ায় এই সমস্যা।’
এদিকে কমিশন থেকে বলা হচ্ছে ভোটাররা যতক্ষণ কেন্দ্রে থাকবেন ততক্ষণ ভোট গ্রহণ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ভোট গ্রহণ চলমান রয়েছে। কেন্দ্রে ভোটাররা থাকলে ভোট গ্রহণ করা হবে।’