বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ঢাকা ওয়াসা, পানি আসবে পদ্মা থেকেও: তাকসিম

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৭

ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমরা পানি ব্যবস্থাপনায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আছি। ঢাকা ওয়াসার শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকাণ্ড আইটি বেইজ। বেশিরভাগ পাম্পগুলোকে আমরা স্কাডারের আওতায় আনতে পেরেছি। স্কাডারের মাধ্যমে আমরা এখন ঘরে বসে পাম্প চালাতে পারছি। এটাই হচ্ছে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা পানি বিপ্লব।’

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা) চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা পানি বিপ্লবে ঢুকে গেছে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। একই সঙ্গে ঢাকায় খাবার পানির উৎস হিসেবে পদ্মা নদী যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘সুপেয় পানি প্রাপ্তি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় ওয়াসার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমরা পানি ব্যবস্থাপনায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আছি। ঢাকা ওয়াসার শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকাণ্ড আইটি বেইজ। বেশিরভাগ পাম্পগুলোকে আমরা স্কাডারের আওতায় আনতে পেরেছি। স্কাডারের মাধ্যমে আমরা এখন ঘরে বসে পাম্প চালাতে পারছি।

‘এটাই হচ্ছে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা পানি বিপ্লব। ঢাকা ওয়াসা ইতোমধ্যে এই বিপ্লবে ঢুকে গেছে। পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখি পানি ব্যবস্থাপনা থেকে আমরা বেশি দূরে না। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সংযুক্ত আছি।’

পদ্মা নদী থেকে ঢাকায় পানি আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বেশি বেশি করে আমরা সারফেস ওয়াটারে যাচ্ছি, কারণ ঢাকার পানির লেভেল নেমে যাচ্ছে, যেটা পরিবেশবান্ধব নয়। এখানেও বিপত্তি আছে। ঢাকা চারপাশের নদীগুলো নোংরা। তাই এই পানি ব্যবহারের অযোগ্য। কাজেই আমরা পানি আনতে যাচ্ছি পদ্মা নদী থেকে, যা এখান থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে, মেঘনা নদী থেকে, যা ২৪ কিলোমিটার দূরে।’

ঢাকা ওয়াসার এমডি আরও বলেন, ‘আইটি বেইজড অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন ও কম্পিউটারাইজড এই তিনটি প্রক্রিয়ার আওতায় ওয়াসাকে পুরোপুরি নিয়ে আসার কাজ চলছে। স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনার কাজ এগিয়ে চলছে। সব কিছু ডিজিটালাইজ হবে। মেনুয়াল কিছু থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন পানি ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন হোক। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখ থেকে ঢাকা শহরে পানির যে চাহিদা, তার থেকে বেশি পানি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।

‘মোটা দাগে পানির কমতি ছিল না, আজও নেই। পানির কোয়ালিটি বলতে যেখানে উৎপাদন হয়ে সেখানে ১০০ শতাংশ পিওর। সমস্যা হচ্ছে উৎপন্ন হওয়ার পরে যখন পাইপ লাইনে যায়, বাসার হাউজে যায় তখনই বিপত্তি হয়। এই কারণে আমরা পাইপ লাইনের পরিবর্তন আনছি।’

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পানির গুণগত মান রক্ষা করা। সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার খরচ কমিয়ে আনা। কৃষি, গার্হস্থ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। পানি ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন করতে হবে।

‘ঢাকার পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে আশপাশের দূষিত পানি এখানে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিল্পায়নের বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশোধন করা গেলে পানি দূষণ রোধ ও পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। গাজীপুরে পানির লেভেল নেমে গেছে। এসব সমস্যার ব্যাপকতা বুঝতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর