মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক।
ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন।
মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী তুর্কি সরকারকে আহ্বান জানালে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশে আরও তুর্কি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে আরও বিনিয়োগ করুন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে তার দেশের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুটি তুর্কি কোম্পানি এ বছর অর্থনৈতিক অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-তুরস্ক জয়েন্ট ইকোনমিক গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক দ্রুত আয়োজনের ওপর জোর দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, কমিশনের আগের বৈঠকটি ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের কাছ থেকে আর্থসামাজিক দিকগুলোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বিষয়েও সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন তুর্কির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
মোস্তফা ওসমান তুরান বাংলাদেশে একটি সুপার স্পেশাল হাসপাতাল স্থাপনে তার দেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন এবং এর জন্য উপযুক্ত জায়গা চেয়েছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাদের পূর্বাচলে এবং পদ্মা সেতুর কাছে জমি দেয়ার প্রস্তাব দেন।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণার প্রশংসা করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কামাল ঘরে ঘরে পরিচিত নাম।
তিনি বলেন, নিজের ছোট ভাই শেখ কামালের নাম তার (কামাল আতাতুর্ক) কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।