‘বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। ভোটাররা ফিরে যাচ্ছেন। ফিংগার প্রিন্ট না মেলায় অনেক ভোটার ভোট না দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে দুপুর ১টার দিকে এমন অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এস এম ইয়াসির।
তিনি বলেন, ‘নগরীর টার্মিনাল এলাকার মজিদা খাতুন কেন্দ্রে ও জুম্মাপাড়া কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হলেও মেরামত করা হয়নি । তা ছাড়া মেশিন এত স্লো যে ভোটাররা ভোট না দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
‘কক্ষে সাবান, ভেসলিন রাখার কথা ছিল, কিন্তু তা রাখা হয়নি। ইভিএম একটা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। আমি মনে করি, এটা একটা ব্যর্থ ভোটিং সিস্টেম।’
বিভিন্ন কেন্দ্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি সকাল থেকে ১৫টি সেন্টারে গিয়েছি। সব সেন্টারের একই অবস্থা। ভোটাররা ফিরে যাচ্ছেন। গ্রামের ভোটার একবার ফিরে গেলে তারা আসবে না। ভোটগ্রহণ অনেক স্লো। আমার প্রশ্ন, ভোটগ্রহণ স্লো হবে কেন? গ্রামে এক রকম ইন্টারনেট স্পিড, শহরে আরেক রকম।
‘আমরা আশা করেছিলাম, ভোট কাস্টিং হবে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ। এখন মনে হচ্ছে দেড়-দুই লাখ কাস্ট হতে পারে।’
কোবারু মাস্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার জরিনা বেওয়া বলেন, ‘সকালে আচচি, একবার আঙ্গুল মেলে নাই, ফির আচচি, তাও হয় নাই। তিনবের দেয়ার পর মিলছে। মুই ভোট দিচুং।’
বাসতি রানী নামের আরেক ভোটার বলেন, ‘মুই টিপ দিচোং। একবার নেয় নাই। পরে নিচে।'
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিধান রায় বলেন, ‘গ্রামের মানুষের মেশিন নিয়ে ধারণা কম। এই কারণে একটু স্লো। মেশিনের কোনো ত্রুটি নেই। যারা মেশিনের ত্রুটি নিয়ে অভিযোগ করছেন, সেই অভিযোগ ঠিক নয়।