মেহেরপুরে গাংনীতে হুল ফুটিয়ে অন্তত ৪০ জন পথচারীকে আহত করেছে মৌমাছির ঝাঁক।
সোমবার উপজেলার বামন্দী-দেবীপুর সড়কে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে পথচারীদের ওপর মৌমাছির এসব আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বামন্দী-দেবিপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে বাবলা গাছে থাকা মৌচাকে একটি বাজপাখি ঠোকর মারলে ওই চাকের মৌমাছিরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় সড়কে চলাচল করা পথচারীরা একের পর এক আক্রমণের শিকার হন। এতে আহত হন প্রায় ৪০ জন। তাদের অনেকেই স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ অবস্থায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি বামন্দী থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় একটি মৌমাছি আমার কানের ভেতরে ঢুকে যায় এবং কামড়াতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে ভ্যানে করে ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার কানের ভেতর থেকে মৌমাছিটিকে বের করে দিয়েছে। এখন আমি অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো।’
দেবিপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তার ওপর উঠতেই আমাকে মৌমাছি কামড়াতে থাকে। আমি দৌড়াতে শুরু করলে মৌমাছিরাও পিছু নেয় এবং কামড়াতে থাকে। মৌমাছির কামড়ে আমার শরীরে জ্বর চলে এসেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’
হাড়াভাঙা গ্রামের শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেবীপুর গ্রামে ঢুকতেই মৌমাছি কামড়াতে শুরু করে। আমাকে অনেকগুলো কামড় দিয়েছে। অনেকে কামড় খেয়ে রাস্তায় গড়াগড়িও করেছে।’
বাজপাখির ঠোকরে মৌচাকটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বর্ণনা দিয়ে সাবান আলী বলেন, ‘আমি মাঠে গরুর ঘাস কাটছিলাম। হঠাৎ দেখি, একটি বাজপাখি মৌমাছির চাকে ছোবল মেরেছে। এ সময় শত শত মৌমাছি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামডে দিয়েছে। আমি পরে অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। বাজপাখিটিকে চারবার ছোবল মারতে দেখেছি।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলফাজ হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগেও মৌমাছির কামড়ে একজন মারা গেছে। তাই যাদের মৌমাছি কামড় দিয়েছে তাদের অবহেলা না করে চিকিৎসা নেয়া দরকার।’
বামন্দী আল শেফা ক্লিনিকের চিকিৎসক ফজলুর রহমান জানান, মৌমাছি হুল ফুটিয়েছে এমন অনেক রোগী তার কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।