গাজীপুরের টঙ্গীতে শিল্পী আক্তার শিলা নামে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৬ বছর পর তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার ভোরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন লুটিয়ার চালা গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে শফিকুলকে আদালতে তোলা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শিল্পী আক্তার শিলা গাজীপুর মহানগরীর মরিচের চালা এলাকার সোলেমানের মেয়ে। খুন হওয়ার সময় তার বয়স ছিল ২২ বছর। ৩২ বছর বয়সী আসামি শফিকুল ইসলামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি থানার কমলাপুর গ্রামে।
সোমবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
তিনি জানান, শফিকুল ইসলাম ভিআইপি-২৭ পরিবহনের হেলপার। ২০১১ সালে শিল্পী আক্তার শিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর তার বিয়ে হয়। এরপর টঙ্গীর এরশাদ নগরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। ২০১৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিলা তার খালা বেবী বেগমের বাড়ি থেকে নিজ বাসায় ফেরার সময় নিখোঁজ হন। ২৩ সেপ্টেম্বর টঙ্গী মডেল থানা এলাকার উত্তর দত্তপাড়ার আব্দুর রশিদের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে শিলার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিলার খালা বেবী বেগম বাদী হয়ে টঙ্গী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
পিবিআই কর্মকর্তা আরও জানান, টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় পিবিআই শিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।
মাকছুদের রহমান জানান, আসামি শফিকুল হত্যায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আসামি বলেছেন, শিলা উৎশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এ কারণে শফিকুলের মা তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
তিনি জানান, শফিকুল ও শিলা টঙ্গীর দত্তপাড়া টেকবাড়ীর আব্দুর রশিদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে তাদের ঝগড়া হয়। রাত ৪টার দিকে শিলা ঘুমিয়ে পড়লে শফিকুল শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান।