নেত্রকোণার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামে ২০১৮ সালে সংঘটিত একটি শিশু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রকৃত অপরাধীকে।
একই গ্রামের যুবক জোবায়ের ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআইয়ের নেত্রকোণা জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির সোমবার সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় কদমশ্রী গ্রামের ৯ বছর বয়সী শিশুটিকে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে বিলের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক নূরুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কদমশ্রী গ্রামের জুয়েলের বাড়িতে দুই বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে খেলতে গিয়েছিল শিশুটি।
এ সময় একই গ্রামের ২৩ বছর বয়সী জোবায়ের তাকে একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
শিশুটি চিৎকার করলে জোবায়ের তাকে গলা চেপে ধরেন এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন। রাতে মরদেহটি বিলের পাড়ে ফেলে আসেন।
পরিদর্শক নূরুল ইসলাম আরও জানান, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর জোবায়েরও অন্য প্রতিবেশীদের মতো খোঁজাখুঁজির অভিনয় করেন। এ কারণে তিনি সবার সন্দেহের বাইরে ছিলেন।
মরদেহ পাওয়ার পর তার অভিভাবকরা মদন থানায় হত্যা মামলা করলে থানা পুলিশ এক বছর তদন্ত করেও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
২০২০ সালে তারা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বাদী আপত্তি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, ‘তদন্তে জোবায়ের এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ হয়। আরও কিছুটা নিশ্চিত হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গত শনিবার বিকেলে তাকে জেলা সদরের সাতপাই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
'জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আদালতের নির্দেশে বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।'