সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সম্প্রীতির এই বন্ধন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন ছিন্ন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে রোববার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সঙ্গে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় সুধীজনরা অংশ নেন এতে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য এবং বিশ্বজন স্বীকৃত। এ ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। সম্প্রীতির এই বন্ধন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন ছিন্ন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবার মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও গভীর হোক- এই কামনা করি। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার মাঝে বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারলেই এ দিনটি উদযাপন তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিবাচক অবদান অনস্বীকার্য বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। শান্তি আর সমৃদ্ধির এক জনপদ বাংলাদেশ। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার নিরলস শ্রম আর অব্যাহত প্রচেষ্টা।’
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বৈষম্যহীনভাবে সবার সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।’