আওয়ামী লীগ গত দেড় দশকে দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশের মেরামতের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
খন্দকার মোশারফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার হীন উদ্দেশ্যে অনেক অযৌক্তিক মৌলিক সাংবিধানিক সংশোধন করেছে। তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
এই রূপরেখার প্রথমেই বলা হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করবে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া সব সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরিবর্তনকে স্থগিত বা সংশোধন করা হবে।’
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা ও ২৭ দফার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির দেয়া রূপরেখা হচ্ছে জাতির মুক্তির সনদ। আমরা এ দেশের মানুষের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। এই দাবি উত্থাপন করার পর দেশের গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, সব দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি এই ১০ দফার পক্ষ নিয়ে সেগুলোকে সমর্থন করেছে।’
দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ করবো।’
খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে দেশটাকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
দেশে দুর্নীতি করে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে যখন নেমেছি, আদায় করে ছাড়বো। তাদেরকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে বাধ্য করবো।’
এ সময তিনি বিএনপি ঘোষিত রূপরেখার ভিত্তিতে জনমত তৈরি করতে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সন্তান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মেদ চৌধুরী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিমসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।