বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সান্তার উপহারে শিশুদের আনন্দ

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৩৩

বড়দিন উদযাপনে প্রার্থনার পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকে। হাসি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে পার করেছেন দিনটি।

সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করেছেন বড়দিন। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই গির্জাগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

দিনটি উদযাপনে প্রার্থনার পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকে। হাসি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে পার করেছেন দিনটি।

বড়দিন পালনে পিছিয়ে নেই দেশের পাঁচ তারকা হোটেলগুলো। আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রির পাশাপাশি ভিন্নতা ছিল পুরো আয়োজনে। হোটেলগুলোর আয়োজনে ছোট শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো।

সান্তার সঙ্গে খেলা ও তার থেকে গিফট নিতেই ব্যস্ত ছিল শিশুরা/ ছবি: নিউজবাংলা

এসব আয়োজনে মূল আকর্ষণ ছিল লাল রঙের পোশাক, চোঙা আকৃতির লম্বা টুপি পরা সাদা চুল-দাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধ লোক। হ্যাঁ, তিনিই সান্তা ক্লজ। প্রতিটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করে, চকলেট ও উপহার নিয়ে আনন্দে ভেসেছে শিশুরা।

তবে অনেকে উপহার শেষ হয়ে যাওয়ায় খানিকটা ব্যথিতও হয়েছে। অন্যদিকে ছুটির দিনে সন্তানদের আনন্দের যোগান দিতে পারায় অভিভাবকারও সন্তুষ্ট।

যিশুর জন্মদিন হিসেবে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়।খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে, এই দিনই যিশু জন্মগ্রহণ করেন। তারা মনে করেন, ঈশ্বরের পুত্ররূপে যিশু এসেছিলেন এই ধরণীতে।

বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, অভ্যর্থনা টেবিলের পাশেই সাজানো হয়েছে সান্তার ঘর। পাশেই ক্রিসমাস ট্রি। নানারকম উপহারের প্যাকেট পরে আছে। শিশুরা মেতেছিল আনন্দ আর খেলায়। ছোটাছুটি, লাফালাফি সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল এ যেন এক টুকরো খেলার মাঠ।

সান্তার সঙ্গে ছবি তুলেছে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া তাহসিন আহরার মাহাথির। নিউজবাংলাকে সে বলে, ‘সান্তার সঙ্গে ছবি তুলেছি, মজা করেছি অনেক। এখানে অনেক প্রতিযোগিতা ছিল ওগুলোতেও অংশ নিয়েছি। অনেক খাবার ছিল, খেয়েছি। আর্ট কম্পিটিশনেও প্রথম হয়েছি। সান্তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেক মজার ছিল দিনটি।’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই টিকিট কিনেছিলাম। আজ বাচ্চাদের নিয়ে বড়দিনের আয়োজনে এসেছি। বাচ্চারা অনেক মজা করেছে। অভিভাবকদের নিয়ে বেশকিছু আয়োজন ছিল। সারাদিন আনন্দ করলাম। আজকের দিনের জন্য যথেষ্ট। এখন আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরছি।’

সবাইকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে জয়শ্রী আক্তার বলেন, ‘বাচ্চারাই আসলে আনন্দ করে। সে জন্য বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। একসঙ্গে লাঞ্চ করলাম, ঘুরলাম। বাচ্চারা সান্তা ক্লজ নিয়ে যে ইভেন্ট রয়েছে সেগুলোতে অংশ নিয়েছে, সময়টা ভাল কেটেছে।’

পরিবারের সঙ্গে ওয়েস্টিনে হোটেলে এসেছিল ৬ বছরের শিশু জোহরা আফসারা। সারাদিন আনন্দে কাটলেও সান্তার কাছ থেকে উপহার না পেয়ে খানিকটা মন খারাপ ছিল তার। তবে অন্য সব মিলে আনন্দ হয়েছে জানিয়ে আফসারা বলে, ‘সকাল থেকে ড্রয়িং করলাম, খেললাম। তবে সান্তার কাছ থেকে উপহার পাইনি, সব শেষ হয়ে গেছে।’

বনানীর শেরাটন হোটেলে দেখা মেলে সান্তার। লাল রঙের পোশাকের আড়ালের এই সান্তার নাম মেহেদী হাসান বাপ্পি। হোটেলের বলরুম ঘুরে ঘুরে সবাইকে চকলেট উপহার দিচ্ছিলেন তিনি। কোনো শিশু আবার এসেছে তার সঙ্গে সেলফি তুলবে।

বাপ্পি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারাদিন অনেক মজা করেছি। বাচ্চা নিয়ে খেললাম, চকলেট দিলাম। পুরোদিন ওদের সঙ্গেই ছিলাম। আনন্দেই কাটলো দিনটি।’

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সুজাদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন,‘ বড়দিন বৈশ্বিক উদযাপন। আর বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। এই শিক্ষা দিতেই বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা বড়দিনের আয়োজন আনন্দ নিয়ে উপভোগ করেছে।’

বড়দিনের আয়োজন বিষয়ে রেডিসন ব্লু’র জনসংযোগ বিভাগের মার্কেটিং কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ তাসফিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ বড় করে বড়দিন উদযাপনের আয়োজন ছিল। বাচ্চাদেরকে ঘিরেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সান্তা ক্লজ ছিল, ক্রিসমাস ট্রি ছিল। অনেক ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল, বেশ সাড়া পেয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর