আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে অভিযোগ করে তাদের বিদায় জানানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বাকশাশের পরিবর্তে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
‘এ সরকার ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকেকে গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। আমাদের কন্ঠ রোধ করার জন্য এক লাখের ওপরে মামলা দেয়া হয়েছে। প্রায় ৩৭ লাখ নেতাকর্মীদের মামলার আসামি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে স্বাভাবিকভাবে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তাদেরকে বিদায় করতে হবে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র না থাকলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকে না। সাংবাদিকদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা যদি চর্চা করা যায়, তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকে। স্বাধীনতার পর, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা এই ক্ষমতায় ছিল। একে একে আমাদের স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘এই গণতন্ত্রের যেটা আমাদের মূল চেতনা, যেটা ৭২ সালে রচনা করা হয়েছিল; সেই সংবিধানের মূল কথা হচ্ছে গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পত্রিকা ব্যতীত সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকলে হবে না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যে ১০ দফা ঘোষণা করেছি, তা হলো এই সরকারের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেটা থেকে কিভাবে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করা যাবে সেজন্য ২৭ দফা ঘোষণা প্রস্তাবনা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি।’