বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিশাদ

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৩১

স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের, কিন্তু সেটা গত ১২ অক্টোবরে করতে পারেনি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোরজবরদস্তি, হুমকি-ধমকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে।’

আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে কর্মী-সমর্থক ও ভোটাররা মিথ্যা মামলা-হয়রানির কবলে পড়বেন এমন শঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে আসার এই ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে এবারের ভোটেও কারচুপি ও বিশেষ প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা করছেন নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ ছিল। নাহিদুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে আপেল প্রতীক নিয়ে উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেটা গত ১২ অক্টোবরে করতে পারেনি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোরজবরদস্তি, হুমকি-ধমকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে।

'আমার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের ওপর আক্রমণসহ নানা অপকর্মের সাক্ষী হয়েছে সাঘাটা-ফুলছড়িবাসী। চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।

'যারা মূল পরিকল্পনাকারী, যারা সাধারণ মানুষদের ওপর চাপ-ভয় দেখিয়ে এই ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন তাদের কোনো শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।'

এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানান এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নাহিদুজ্জামান এ আশঙ্কা জানিয়ে বলেন, ‘আগামী ৪ জানুয়ারি উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে আমার এলাকার অন্য নিরীহ ব্যক্তিদের অপরাধী বানিয়ে হয়রানি করা হবে। কারণ, বিগত ভোটের সময় একাধিক মিথ্যা মামলায় সহজসরল মানুষদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। সুতরাং কমিশন ফের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে আবার প্রহসন করতে চাচ্ছে।’

এ কথা বলে সংবাদ সম্মেলনে নাহিদুজ্জামান নির্বাচনে তার জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ারও দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাঘাটার জুমাড়বাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল ও পল্লি চিকিৎসক জয়নাল আবেদিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে ইসি। অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কি না, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি।

১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে ১২৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন পুলিশ উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তদন্ত শেষে ৬ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে তারিখ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিভাগের আরো খবর