নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশানসহ জামায়াত-শিবিরের ২৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আল আমিন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৩১ জনকে।
এদিকে সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে অভিযান চালিয়ে জামায়াত কর্মী সোহেল, ইছমাইল হোসেন, কামাল উদ্দিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, 'কোনো অনুমতি না নিয়ে শনিবার সকালে পিয়ারাপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে যান চলাচল বিঘ্নিত করে।
'এ ছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।'
মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জেলা জামায়াত।
জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, কোনো ঘটনা ছাড়াই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, কাল্পনিক ও গায়েবি মামলা করা হয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে জেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গণমিছিল করেছেন। অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জামায়াতের আমির ডা. সফিকুর রহমানসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে গণমিছিল করেছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পিয়ারাপুর এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।