পঞ্চগড় শহরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।
এ সময় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন।
৫০ বছর বয়সী আরেফিন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে শহরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শুরু করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুর রশিদ আরেফিন নিহত এবং দুই শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
কাচ্চু বলেন, ‘পুলিশ দুই ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতেও হামলা করে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করবো।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা ও ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালালে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের ১০-১২ সদস্য আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন পুলিশের লাঠির আঘাতে মারা যাননি। তিনি বেলা আড়াইটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তা আমাদের নিশ্চিত করেছেন। তারপরও বিতর্ক এড়াতে মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে।’