সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় গণমিছিলের ডাক দিয়েছিল বিএনপি।
শনিবার এই কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও সকাল থেকে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়।
বিএনপি নেতা এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘বেলা ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আমাদের গণমিছিল শুরু হয়ে, প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে কিছুক্ষণের মধ্যে সমাবেশ শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিছিল বানচাল করতে সকাল থেকেই নগরীর ফেরিঘাট মোড়ে জলকামান প্রস্তুত রেখেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ছাড়া দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেলেও অনেকটা প্রকাশ্যেই গণমিছিল করেছে জামায়াত-শিবির।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী ও জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর গল্লামারী প্রধান সড়কে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলের আগে একটি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘১০ দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে সরকার ভীত হয়ে খুলনাসহ সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে মিথ্যা একটি মামলায় একের পর এক রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। নির্যাতন করে চলমান এই আন্দোলন দমন করা যাবে না। গণ-আন্দোলনের মুখে এ সরকারের পতন হবে ইনশা আল্লাহ।’
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি দাবি করে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে জনগণ আর ঘরে বসে থাকবে না।’
খুলনায় গণমিছিল করেছে জামায়াত
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, খুলনা মহানগর সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগর সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা সদর থানা আসির শেখ আবু রাইসা, সোনাডাঙ্গা থানা আমির মাওলানা শাহারুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমির ফোরকান উদ্দীন মিঠু, হরিণটানা থানা আমির আব্দুল গফুর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈম, খুলনা মহানগর সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান, জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইমরান, সেক্রেটারি বেলাল হোসেনসহ আরও অনেকেই।