মেহেরপুরের গাংনীতে প্রাক্তন ভাবির সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় দেবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ৩০ বছর বয়সী মো. সাহাবুলকে গ্রেপ্তার করে গাংনী থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার তাকে মেহেরপুরের আদালতে উপস্থিত করা হয়।
সাহাবুল গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা হালসানা পাড়ার বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জেলার গাংনী উপজেলার পীরতলা গ্রামের এক নারীর সঙ্গে হাড়াভাঙ্গা হালসানা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। বিয়ের কিছুদিন পর হান্নান বিদেশ চলে গেলে দেবর সাহাবুলের সঙ্গে গড়ে ওঠে ভাবির শারীরিক সম্পর্ক।
ওই সময় সাহাবুল তার ভাবির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন।
এদিকে বেশ কিছুদিন আগে ওই গৃহবধু প্রবাসী স্বামী আব্দুল হান্নানকে তালাক দিয়ে প্রতিবেশী মো. মহিবুলকে বিয়ে করেন।
ভাইকে ছেড়ে অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করায় সাহাবুল ওই পর্নো ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করতে বললে সাহাবুল ১০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রাক্তন ভাবির কাছে।
এ ঘটনায় গাংনী থানায় ৩ ডিসেম্বর একটি মামলা করেন ওই গৃহবধূ। যার নম্বর ৩০। মামলার পর থেকেই দেবর সাহাবুল এতদিন পলাতক ছিলেন।
এদিকে সাহাবুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার কাশিমপুর এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, হান্নান বিদেশ যাবার পর একই সঙ্গে সাহাবুল ও মহিবুলের সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক করে ওই গৃহবধূ। পরে স্বামীর পাঠানো ১৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে মহিবুলের সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি। এতে রাগান্বিত হয়ে পর্নো ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন সাহাবুল। যদিও সাহাবুলের পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূর মামলা তদন্তে গিয়ে পর্নো ছবি ও ভিডিও ধারণ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে সাহাবুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই সাইফুল ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।