ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে নওগাঁর পথ-ঘাট-প্রান্তর। ভোর থেকে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় থমকে গেছে নওগাঁর সবচেয়ে ছোট উপজেলা বদলগাছীর কর্মচাঞ্চল্য।
বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া অফিসের শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন।
তীব্র এ শীতে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
শহরের বাইপাস এলাকার ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এত কুয়াশা আর শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের। ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তায় তেমন কিছু দেখা যায় না কুয়াশার কারণে।’
সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের কৃষক বায়েজিদ হোসেন বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে জমিতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একটু কাজ করে আবার আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে হচ্ছে। কী আর করার; কাজ তো করতেই হবে।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হচ্ছে। মাসের শেষের দিকে ও আগামী বছরের শুরুতে তাপমাত্রা আরও নিচে নামার আশঙ্কা রয়েছে।’